November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 10th, 2021, 6:47 pm

দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রমবর্মান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছে।

রবিবার (১০ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র পারমাণবিক চুল্লিপাত্র (রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল-আরএনপিপি) স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করার পর আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি উপযুক্ত স্থান পাওয়া যায়, তবে আমরা অবশ্যই প্রকল্পের কাজে হাত দেব। আমার ইচ্ছা পদ্মা নদীর অপর পাড়ে অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের কোনও জেলায় এটি নির্মাণ করা হোক।’

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে জায়গা খুঁজছি। কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্ত-মজবুত জমি পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারি, তবে দেশে আর আর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আছি, তবে এই শেষ নয়। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

তিনি বলেন, ২০৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীণতা প্রাপ্তির শতবর্ষ উদযাপিত হবে। ততদিনে অবশ্যই আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের দেশটাকে আরও সুন্দর, উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দেশে রূপান্তরিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। যাতে করে কখনোই আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত না হয়। আমরা চাই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।

সূত্র অনুযায়ী, ইউনিট-১ এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হবে। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।

–ইউএনবি