নিজস্ব প্রতিবেদক:
হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের যে ছয়টি কূপ বন্ধ হয়েছিলো, তার মধ্যে চারটি চালু হয়েছে। ফলে রোজার শুরুতে দেখা দেওয়া গ্যাস সংকট কমে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। অপরদিকে গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-তিতাস বলছে, রোজার প্রথম দুইদিন গ্যাস নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যে অভিযোগ আসছিলো, তাও কমে এসেছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) তিতাসের এক কর্মকর্তা এই কথা জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্যাস স্বাভাবিক হতে পারে। রোজার প্রথম দুইদিন তিতাসের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার তার সংখ্যা খুবই কম ছিল। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। এর আগে গত মঙ্গলবার ইফতারির পর রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, শাহজাদপুর, বাড্ডা, খিলগাঁওসহ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে গ্যাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবু সাকলায়েন বলেন, যে ছয়টা কূপ বন্ধ হয়েছিলো, তার মধ্যে চারটি চালু হয়েছে। বাকি দুটি কূপের কাজ চলছে। এখন মোট এক হাজার ৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। বিবিয়ানার ওই ছয়টা কূপে আসলে কি হয়েছিলো এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে কী ঘটেছিলো আমরা বিস্তারিত জানানোর জন্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করছি। পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ৪০ শতাংশের বেশি আসে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে। প্রতিদিন এই গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছয়টি কূপ থেকে আসে ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার তিনদিনের মাথায় চারটি কূপ চালু হওয়ার পরও আরও ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংকট থেকে যাচ্ছে। তিতাস বলছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্যাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরো সমস্যার সমাধান দুই-একদিনের মধ্যে হবে কি না জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা আবু সাকলায়েন বলেন, কারিগরি সমস্যার পুরোপুরি সমাধান দুই-একদিনের মধ্যে হচ্ছে না। ত্রুটি সমাধানে কিছুটা সময় লাগবে।
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র