অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ভাতিজি ফারিদা মোরাদখানিকে রাজধানী তেহরান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতারের পরপরই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফারিদা মোরাদখানিকে যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, সেখানে অনেক রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন। মোরাদখানির ভাই মাহমুদ ফ্রান্স থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালকে নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার দ্য জেরুজালেম পোস্টে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ইরানের হিউম্যান অ্যাকটিভিস্ট নিউজ এজেন্সি বলছে, মোরাদখানিকে কি কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কেনো কারাগারে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সংস্থাটি জানিয়েছে, গ্রেফতারের সময় মোরাদখানি বাসায় ফিরছিলেন। পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজনৈতিক বন্দিদের কারাগারটির নাম ইভিন। সেখানে মোরাদখানি বন্দি রয়েছেন। কারাগারটিতে বন্দিদের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত আগস্টে একটি হ্যাকার গ্রুপ ওই কারাগারের নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ্যে আনে। ভিডিওতে কারাবন্দিদের অত্যাচারের শিকার হতে দেখা গেছে। রেডিও ফার্দার তথ্য অনুসারে, মোরাদখানি মৃত্যুদ- আইনের বিরোধী ও নাগরিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন। টেলিগ্রাফের তথ্য অনুসারে, খামেনির ভাতিজি গ্রেফতারের সম্ভাব্য কারণ হলো, তিনি একটি নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে অবস্থা নিয়েছিলেন। গত অক্টোবরে তিনি প্রকাশ্যে পালাভি নামক একটি পরিবারকে সমর্থন জানিয়েছেন। পরিবারটি ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের নির্মমতার শিকার হয়েছিলেন। মোরাদখানি হলেন, বাদরি খামেনি ও শেখ আলি তেহরানির কন্যা। তারা ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনিরবিরোধী। ১৯৮৫ সালে বাদরি ও তার সন্তানরা ইরান থেকে ইরাকে পাড়ি জমান। বাদরি বলেছিলেন, আমি রাজনৈতিক সংগ্রাম নিয়ে হতাশ। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সমস্ত রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখব। ১৯৮৫ সালে লন্ডনের সানডে টাইমসের এক সাক্ষাৎকারে বাদরি বলেছিলেন, খোমেনি বলপ্রয়োগ করে বিশ্বে ঈশ্বরের বাণী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা ইসলামের নামে অনেক কিছু কায়েম করছেন, কিন্তু এটা আমাদের ধর্মের বিরোধী। তেহরানি ও বাদরি পরবর্তীতে ইরানে ফিরেছিলেন এবং তেহরানি ১০ বছর জেল খেটেছেন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু