নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালবাগ থানায় হওয়া ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩রা নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এই আদেশ দেন। একইদিনে অভিযুক্ত একমাত্র আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি হাসান আল মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় ধর্ষণের অভিযুক্ত একমাত্র আসামি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। অব্যাহতিপ্রাপ্ত দুই আসামি নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। হাসান আল মামুনের পক্ষে যোবায়ের আহমেদ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আকবর জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। গত ১৭ জুন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে নুর ছাড়াও নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে বুধবার (৩রা নভেম্বর) নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়ে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলায় হাসান আল মামুনের ধর্ষণ ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও মেসেঞ্জারে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়। একই বাদী ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় আরেকটি ধর্ষণ মামলা করেন। যেখানে নাজমুল হাসান সোহাগ ও ডিজিটাল অপরাধের অভিযোগে হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেই মামলাতেও নুরসহ চারজনেক অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ