May 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, April 5th, 2024, 2:19 pm

ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ হয়েছে। যা সহিংসতার একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিকে তুলে ধরে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে থানচি বাজারের কাছে গুলি বিনিময় শুরু হয়। সশস্ত্র দলটি থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে বলে খবর পাওয়া যায়। এসময় পুলিশও প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন চলমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতের অন্ধকারের কারণে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে অসুবিধার কথা প্রকাশ করেন। থানচি বাজারের প্রান্তে বিজিবি ক্যাম্প ও সেনা তল্লাশি চৌকির নিকটবর্তী এই থানাটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামল্লাই ম্রো জানান, যৌথবাহিনী ও কেএনএফ জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মামুন আরও জানান, কেএনএফ সদস্য, পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে দেড় কোটি টাকা ও ১০টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ আগ্রাসী তৎপরতা শুরু করে।

উপরন্তু, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজহাদ উদ্দিনকে একটি মসজিদে নামাজের সময় অপহরণ করা হয়েছিল, যদিও পরে বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছিল যে ব্যাংকের ভল্ট থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।

বুধবার বিকালে থানচি উপজেলায় কেএনএফ জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দুটি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করলে আরও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে উদ্ধারের ঘোষণা দেন।

—–ইউএনবি