অনলাইন ডেস্ক :
এর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বোধহয় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। ব্যবসায়িক কারণে আদালতের চক্করে পড়তে হলো সাবেক ভারতীয় অধিনায়ককে। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন দুই সাবেক ব্যবসায়ী অংশীদার মিহির দিবাকর ও তার স্ত্রী সৌম্য দাস। তাদের আগে অবশ্য ধোনি এই দুজনের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণার মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই ঘটনার পর মিহির দিবাকর ও তার স্ত্রী দ্বারস্থ হন দিল্লি হাইকোর্টের। কারণ ধোনির করা অভিযোগে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও মিডিয়া হাউজের তরফ থেকে আলোচিত হচ্ছেন। যার সমাধানে এসব বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও ধোনির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। ধোনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার শুনানি হবে ১৮ জানুয়ারি। তাদের কথা ধোনির ১৫ কোটি রুপির এই প্রতারণার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধোনি যাতে এই ধরনের কোনো অভিযোগ বা মন্তব্য করতে না পারেন, তার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন করেছেন তারা।
কারণ এর মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। দিবাকর ও সৌম্য মূলত আর্কা স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির দুই কর্ণধার। তাদের বিরুদ্ধে রাঁচির নিম্ন আদালতে ধোনি প্রতারণার মামলাটি করেছিলেন। ধোনির আইনজীবী দয়ানন্দ সিংহ জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে অভিযুক্ত ওই দুই জন ভারতে ও ভারতের বাইরে ধোনির নাম ব্যবহার করে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি করার প্রস্তাব দিয়ে চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুসারে ধোনির ফ্র্যাঞ্চাইজ ফি এবং লভ্যাংশ পাওয়ার কথা ৭০/৩০। কিন্তু পরে দেখা গেলো অভিযুক্তরা ধোনিকে না জানিয়ে এবং কোনো অর্থ না দিয়েই অ্যাকাডেমি করতে থাকে। শুরুতে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু কোনো জবাব পাননি। তার পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট চুক্তি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তার পরেও অভিযুক্তরা একই কাজ করে আসছিল ধোনির নাম ব্যবহার করে। ধোনির আইনজীবীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চুক্তি ভঙ্গ করায় দুবার লিগ্যাল নোটিশ দেন তারা। যাতে ধোনি আর্ধিকভাবে ১৫ কোটি রুপির মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধোনি এই ঘটনায় তার পর মামলা করেন গত ২৭ অক্টোবর।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২