অনলাইন ডেস্ক :
তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৮৯ ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যান বেতনের অঙ্ক নির্ধারণে অন্যান্যের চেয়ে মুশফিকুর রহিমকে এগিয়েই রাখে সব সময়। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মাসে সর্বোচ্চ ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে এসেছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। ম্যাচভিত্তিক সর্বোচ্চ পয়েন্টের জন্য নতুন চুক্তিতেও টাকার অঙ্কে মুশফিকই সবার ওপরে আছেন বলে জানা গেছে। এবার যেহেতু খেলোয়াড় ভেদে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে, তাই প্রাপ্তিও বাড়ছে তাঁর। এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে মুশফিক যা পাবেন, সে অঙ্কটি সাত-আট লাখ টাকার মধ্যে। এবার চুক্তির ধরনও বদলেছে, তেমনি বেড়েছে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যাও। আগের চুক্তিতে ছিলেন ১৭ জন। নতুন চুক্তিতে ঠাঁই হয়েছে ২৪ জনের। সেই সঙ্গে গতবারের লাল আর সাদা বলের চুক্তিও রাখা হয়নি। সেখান থেকে বেরিয়ে চুক্তি করা হয়েছে সংস্করণভিত্তিক। ছয়জন ক্রিকেটার যেমন আছেন শুধুই টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে মাহমুদ উল্লাহ আর মুস্তাফিজুর রহমানসহ আছেন চারজন। টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হককে নিয়ে ছয়জন আছেন শুধু এই সংস্করণের চুক্তিতে। টেস্ট আর ওয়ানডের চুক্তিতে তামিম ইকবালের সঙ্গী আরো দুজন। আর সব সংস্করণের চুক্তিতে মুশফিক, সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাসের সঙ্গে আছেন তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামও। এ বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার শরীফুলের সব সংস্করণেই জায়গা করে নেওয়ার যুক্তি তাঁর মধ্যে দেখা যাওয়া ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। তাঁর মতো এই প্রথম যাঁরা চুক্তিতে এসেছেন, তাঁদের ‘রুকি’ বা নবাগত হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের প্রধান আকরাম খান। চুক্তি এবার সংস্করণভিত্তিক করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘এর কারণ হলো অনেকেই শুধু টি-টোয়েন্টিই খেলছে। যেমন নাসুম আছে, (শামীম) পাটোয়ারী আছে। এজন্য এবার আমরা তিনটি সংস্করণ আলাদা করেছি। আগে ছিল সাদা বলের চুক্তি অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি যাঁরা খেলত, তাঁরা একই চুক্তিতে ছিল।’ এবার চুক্তিতে ভিন্নতা আনার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের মধ্যে সব সংস্করণে জায়গা করে নেওয়ার তাগিদ বাড়ানোর ভাবনাও ভূমিকা রেখেছে বলে জানালেন আকরাম, ‘এবার আমরা পার্থক্য রেখেছি পারফরম্যান্স (বাড়ানোর) জন্য। যেন খেলোয়াড়দের মধ্যে ওই জিনিসটা কাজ করে (সব সংস্করণের দলে জায়গা পাওয়ার জন্য পারফরম করার)। টি-টোয়েন্টি থেকে কেউ যদি টেস্টেও যায়, তাহলে বেতনও অনেক বেশি। এমনকি ওয়ানডেতে গেলেও বেশি। তাই এই পার্থক্যটি আমরা জেনে-বুঝেই করেছি, যাতে খেলোয়াড়রা পারফরম করে অন্য ফরম্যাটেও চলে আসতে পারে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা