অনলাইন ডেস্ক :
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এই প্রথমবার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বদলে নতুন দিকে দৃষ্টি ঘোরালেন। এমন কী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও উচ্চবাচ্য করেননি। গত শুক্রবার রাতে নতুন বছরের নীতিনির্ধারণ ভাষণে তিনি জানান, এবার তার দেশ গুরুত্ব দেবে খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ওপর। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ গত শনিবার কিমের ভাষণ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা দলের বৈঠকের পর ওই ভাষণ দেন। গত কয়েক বছর ধরে এ ভাষণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই খাদ্য ও উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তার ভাষণে। করোনা মহামারি শুরুর পর বিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির অর্থনীতির ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া খাদ্য মজুত করতেও দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার খাদ্যসংকট নিয়ে এর আগেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গত অক্টোবরে বলা হয়েছিল, দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি। এ প্রসঙ্গে কিম তার ভাষণে বলেন, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। জোরেশোরে পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাম সরাসরি না নিলেও সামরিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেন কিম। তিনি বলেন, চলতি বছরও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চালিয়ে যাবে পিয়ংইয়ং। কোরীয় উপদ্বীপ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামরিক অস্থিরতার কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিম জং-উনের এই নতুন নীতি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সম্পর্ক মেরামতের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা চলছে সেই ১৯৫৩ সাল থেকে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু