জেলা প্রতিনিধি:
ঈদের আমেজে পদ্মা সেতু দর্শন শেষে বাড়ি ফেরা হলো না তিন বন্ধুর। নড়াইল-ভাটিয়াপাড়া- মাওয়া সড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দার জয়বাংলা মোড় এলাকায় মাইক্রোবাসের চাপায় ঘটনাস্থলে দুই বন্ধু এবং অপরজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নড়াইল শহরের বাসিন্দা লাহুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিএম নজরুল জমাদ্দারের ছেলে তুর্য, মহিষখোলার বাসিন্দা গাজী আমিনুর রহমানের ছেলে রাউফুর রহিম ও আলাদপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে সান।
জানা গেছে, ৮ বন্ধু মিলে সোমবার দুপুরের দিকে মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু দেখতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাওয়া-ভাটিয়াপাড়া-নড়াইল সড়কের নগরকান্দা জয়বাংলা মোড় এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে নিহতদের মোটর সাইকেলটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় তুর্য ও রাউফুর রহিম ঘটনাস্থলে নিহত হন।
স্থানীয়রা গুরুতর জখম সানকে উদ্ধার করে প্রথমে মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে জরুরি চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গোপালগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে সান মারা যান। সানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিবেশি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা।
নিহত রাউফুর রহিমের চাচা গাজী মাহফুজুর রহমান জানান, এরা তিন বন্ধু সোমবার দুপুরে মাওয়া এলাকায় পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে ফেরার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসএমএ জলিল জানান, নিহতরা ২০১৬ সালে নড়াইল সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। এদিকে তিনবন্ধুর অকাল মৃত্যুর খবরটি শহরে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। বন্ধুরা নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো শহর জুড়ে যেন নিস্তব্ধতা নেমে আসে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক