November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 28th, 2022, 7:10 pm

নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমের জামিন আপিলে বহাল

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার তার জামিন বাতিলে দুদকের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান তার জামিন বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ আদেশের ফলে এম এ কাশেমের কারামুক্তিতে কোন বাধা রইলো না। আদালতে এম এ কাশেমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।

উল্লেখ্য,এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে। তবে আরেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন চেম্বার আদালত বহাল রাখেন।

দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ২২ মে আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে ওই দু’জনসহ চারজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

এর পরদিন তাদের নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তারা কারাগারে। পরে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।

সে আবেদনের শুনানির পর আদালত তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে; কেন তাদের জামিন দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় তাতে। সে রুলটি নিষ্পত্তি করে গত ১০ নভেম্বর দেশের বাইরে এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না,এমন শর্তে তাদের জামিন দেন হাইকোর্ট।

পরে ১৩ নভেম্বর সকালে তাদের সে জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে দুদক। এরপর দুপুরে আবেদনের শুনানির পর রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখে এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করে আদালত। ইতোমধ্যে রেহানা রহমান কারামুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে ছয় মামলা করে দুদক।

এতে আসামি করা হয়- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

এরপর গত ২১ অক্টোবর ছয় আসামির সঙ্গে আরও তিনজনকে যুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।

এই তিন আসামি হলেন- আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের জন্য কম দামে জমি কিনলেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোক দিয়ে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করেন। পরে এফডিআর ভেঙে টাকা আত্মসাৎ করেন।

এই প্রক্রিয়ায় টাকা আত্মসাৎ করে তারা অর্থ পাচারের অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

—ইউএনবি