অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসলো সেনাবাহিনী। দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন তারা। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে আটক করেন সৈন্যরা। অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়ে সৈন্যরা জানান, দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান বাতিলের পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠান এবং সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে একদল সৈন্য জাতীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে অপসারণ সরা হয়েছে। অভ্যুত্থান ঘোষণা করে কর্নেল আমাদু আবদরামান জানান, দেশের সীমান্তগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এ সময় দেশটির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৯ কর্মকর্তা তাকে ঘিরে ছিলেন। কর্নেল আমাদু আবদরামান বলেন, দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং অপশাসন বেড়ে যাওয়ায় নাইজারের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সময় তিনি বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এর আগে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে আটক করেন তার প্রাসাদের রক্ষীরা। গত বুধবার নিরাপত্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। এ সময় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, রক্ষীরা অর্থহীন গণতন্ত্রবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্টের পরিবার সদস্যদের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেই রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়। এর আগে গত বুধবার সকালে নাইজারের প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন যে প্রেসিডেন্ট গার্ড বাহিনীর সদস্যরা প্রেসিডেন্ট বাজুমের বিরুদ্ধে দৃশ্যত অভ্যুত্থানচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেজ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। পশ্চিম আফ্রিকায় উগ্রবাদীদের দমনে বাজুম ছিলেন পাশ্চাত্যের অন্যতম মিত্র উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, প্রেসিডেন্টকে সর্বাত্মক সহায়তা অব্যাহত রাখবে তারা। প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসোতে সম্প্রতি সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২