অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের কারণে বিস্তর সমালোচনার শিকার নাঈম শেখ। এই সমালোচনায় জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়েছেন। তবে ঢাকা লিগে নিয়মিত হাসছে নাঈমের ব্যাট। আবাহনীর জার্সিতে রানের বন্যা বইয়ে এখন পর্যন্ত শীর্ষ রান সংগ্রাহক তিনি-ই। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) তার ব্যাটেই শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনী ৯ রানে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়েছে। ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে অগ্রণী ব্যাংককে ২৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় আবাহনী। ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রানে ওপেনার সাদমান ইসলামের (১) উইকেট পড়লেও শুরুটা একবারে খারাপ ছিল না। অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলাম ও আজমির আহমেদ মিলে বড় জুটির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙে জহুরুলের বিদায়ে (২৬)। এরপর আজমির ও মোহাম্মদ ইলিয়াস মিলে ৬০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমকি বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। ৬৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আজমির। আজমির ও ইলিয়াসের মতো মার্শালও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। কিন্তু কেউ ইনিংস লম্বা করতে না পারায় ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্কোর গিয়ে থেমেছে ২৫৮ রানে। মার্শাল ৭১ বলে ৩ চারে ৫৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ইলিয়াসের ব্যাট থেকে আসে ৮০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। আবাহনী বোলারদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ইনফর্ম ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন। শীর্ষ রান সংগ্রাহক তালিকার দুই নম্বরে থাকা এনামুল গতকাল বৃহস্পতিবার বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেননি। ৩৩ বলে ৪ চারে করেছেন ২৮। এনামুলের বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্তও (২)। আফিফও নিজের ইনিংসটাকে খুব বড় করতে পারেননি। নাঈম শেখের সঙ্গে ৩২ রানের জুটির পর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আফিফ ৩১ রানে বিদায় নিয়েছেন। এরপর স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না করেই বিদায় নিয়েছেন নাঈম (৭৯)। ৭৫ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় এই ব্যাটার পেয়েছেন টানা সপ্তম হাফসেঞ্চুরি। পুরো মৌসুমে নাঈমের সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩। বাকি ম্যাচগুলোতে একটি সেঞ্চুরি ছাড়া হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। তার ৭৯ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়েই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় আবাহনী। তারপর মোসাদ্দেকের (৫২), সাইফউদ্দিন (৩৩) ও জাকের আলী অনিকের (২৭) ইনিংস আবাহনীর স্কোরকে ২৬৭ রানে নিয়ে যেতে ভূমিকা রেখেছে। অগ্রণী ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে পেসার এনামুল হক সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আবু দায়দার রনি ও আসাদুজ্জামান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। শরিফউল্লাহ ও আজমির আহমেদ শিকার করেছেন একটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা