ব্যক্তিগত মুহুর্তে উত্যক্ত করায় ছোট ভাই সাত বছরের শিশু সৌরভকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা এসব তথ্য জানান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- নিহত সৌরভের সৎ ভাই সানি মিয়া (১৯), তার স্ত্রী আয়শা আক্তার (১৮) ও শ্বাশুড়ি শিল্পী বেগম (৩৫)।
পুলিশ আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, শ্বাশুড়ির পরামর্শে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ছোট ভাইকে হত্যা করে একটি ড্রামে ভরে খাটের নিচে রেখে দেয় সানি। পরে রাতে সুযোগ বুঝে স্ত্রীর সহযোগিতায় বাড়ির পেছনে পরিত্যাক্ত কচুঁর ঝোপে ফেলে দেয় লাশটি।
এরপর বৃহস্পতিবার বন্দর উপজেলার কুঁড়িপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে বন্দর থানায় নিহত শিশু সৌরভের মা-বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকা থেকে শিশু সৌরভের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটির মা কুলসুম বেগম মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঘর থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ থাকে সে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মসজিদের মাইকে সৌরভের নিখোঁজের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পরিত্যক্ত জায়গা শিশুর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। শিশুটি সোনারগাঁ উলিপুরা গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে ও বন্দর রাজা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহত শিশুর সৎ ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তাদের বিবাহিত জীবনে ব্যক্তিগত মুহুর্তের সময় উত্যক্ত করার কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। প্রথমে লাশ খাটের নিচে রাখা হয়। পরে রাতে লাশটি নিয়ে পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রাখে।
নিহত শিশুর পিতা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, আমরা সন্তানের ওরা এভাবে হত্যা করবে আমি কখনও কল্পনা করতে পারি নাই। আমরা এই খুনের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ