September 21, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 29th, 2022, 7:46 pm

নাশকতার ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো রিজভীকে

নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও বাড্ডা থানার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম তোফাজ্জল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করেন।

রিজভীর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী শেখ শাকিল আহম্মেদ রিফন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িরচালক আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।

এ মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৯ মার্চ তারিখ ধার্য রয়েছে।

এছাড়া ২০১৩ সালে পার্টি অফিসের সামনে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় এবং ২০১৫ সালের বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই তিন মামলাই বিচারাধীন।

এর আগে রবিবার তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন রাজধানীর শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানার নাশকতায় পৃথক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

—ইউএনবি