অনলাইন ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রবিবার ক্রিস হিপকিন্সের নাম নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপরই তিনি কারমেল সেপুলোনিকে তার উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন।
এরমধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের কোনো ব্যক্তি এই পদে বসেছেন।
হিপকিন্স তার লেবার পার্টির আইন প্রণেতাদের নিরঙ্কুশ সমর্থন পেয়ে জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার প্রতিযোগিতায় একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আরডার্ন বৃহস্পতিবার যখন পদত্যাগের ঘোষণা দেন তখন খবরটি শুনে সবাই চমকে গিয়েছিল।
বুধবার হিপকিন্স আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হতে ৯ মাসেরও কম সময় রয়েছে।
আরর্ডানের চলে যাওয়া এবং পরবর্তী নেতা নির্বাচনে হিপকিন্সের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দলটির অন্যান্য নেতারা যে মতবিরোধ এড়িয়ে চলতে চাচ্ছেন, তা স্পষ্টই প্রমাণ করে।
নিজের অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়ে হিপকিন্স বলেন যে তিনি জানতেন অনেক পরিবার মহামারির ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতির কারণে সংগ্রাম করছে এবং অর্থনীতি তার সরকারের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য একটি অত্যন্ত দৃঢ় সরকার গঠন করব। যারা নিউজিল্যান্ডবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর প্রতি নজর দিবে এবং অবশ্যই আমরা যে সময়ে আছি তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হবে।’
হিপকিন্সের মতো সেপুলোনি ১৫ বছর আগে একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীদের একজন হিসেবে সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান পোর্টফোলিও গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের একটি ছোট শহরের একজন শ্রমজীবীর মেয়ে যে উপপ্রধানমন্ত্রী হতে পারে এটা বিশ্বাস করা খুব কঠিন ছিল।
আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্প্রদায়ের জন্য এটা অত্যন্ত সম্মানজনক পদ, আমি তা স্বীকার করতে চাই। আমি গর্বিত,কারণ সামোয়ান,টোঙ্গান, ইউরোপীয়ান নিউজিল্যান্ড এবং মিশ্র ঐতিহ্য নিয়ে আমি নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু