অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে ‘ই-পাসপোর্ট’ সেবার কার্যক্রমের শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন এবং নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। এ সময় ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কনস্যুলটে আগত সেবা প্রার্থী ছাড়াও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন পূর্বে প্রচলিত হাতে লেখা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নতুন প্রচলিত ই-পাসপোর্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নাই। যার ফলে বহির্বিশ্বে এই পাসপোর্টধারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো ই-পাসপোর্ট এর প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম মিশন হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস-বার্লিনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় মিশন হিসেবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এই সেবা চালু করা হলো। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এরমধ্যেই ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ই-গেইট স্থাপন করেছে, যা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করবে। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২২ জানুয়ারি ২০২০ ই-পাসপোর্ট এর উদ্বোধন করেন। এই পাসপোর্টটি বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিনির্ভর পাসপোর্ট। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা বিলম্বিত হয়েছে, তবে অচিরেই পাসপোর্ট সংক্রান্ত সবধরণের সেবা নাগরিকদের প্রদানের ব্যাপারে সরকার বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউ ইয়র্ক হতে ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণের জন্য https://www.epassport.gov.bd/landing লিংক এর মাধ্যমে অন-লাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদনপত্রের কপি (বার কোডসহ) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সরবরাহ করতে হবে। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে দিনটিকে কনস্যুলেটের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীর এই ঐতিহাসিক ও আনন্দঘন মুহূর্তে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ই-পাসপোর্ট সেবার শুভ সূচনা করলো। ই-পাসপোর্টের প্রচলন উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। কনসাল জেনারেল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির একটি। তথ্য প্রযুক্তিসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি লাভ করেছে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ’সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এর পর সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ও কনসাল জেনারেল কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, এই কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবার পাশাপাশি চলমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এর কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২