অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাট হাতে রানের জোয়ার বইয়ে চলা ফখর জামানের সামনে ছিল দারুণ এক রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি। কিন্তু এবার নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না পাকিস্তানের ওপেনার। তাতে ওয়ানডেতে টানা চার ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়া হলো না বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানের। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে টানা চারটি শতকের রেকর্ড কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে অনন্য এই কীর্তি গড়েন তিনি। আগের তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তির রেকর্ডটিতে ভাগ বসানোর সুযোগ আসে ফখরের সামনে।
কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার করাচিতে তিনি ১৯ রানে আউট হয়ে যান। ফখরের এই তিনটি সেঞ্চুরি কিউইদের বিপক্ষেই। গত জানুয়ারিতে করাচিতে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওই ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি পাকিস্তান। এরপর চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়ায় দারুণ দুটি সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ওয়ানডেতে ২৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১ ছক্কা ও ১৩ চারে ফখর করেন ১১৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩৭ রানের পাহাড় টপকাতে নিজেকে আরও দুর্দান্ত রূপে মেলে ধরেন ফখর। এবার শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে দলকে জিতিয়ে ফেরেন তিনি। খেলেন ৬ ছক্কা ও ১৭ চারে ১৪৪ বলে ১৮০ রানের ইনিংস। দুই ম্যাচেই সেরা ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ওয়ানডেতে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি আছে ফখর ছাড়া আরও ১০ জনের। সর্বপ্রথম এই কীর্তিটি গড়েন পাকিস্তানি ক্রিকেটারই। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে টানা তিনটি সেঞ্চুরি উপহার দেন জহির আব্বাস। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুইবার টানা তিন ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও পাকিস্তানি ক্রিকেটারের। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ মিলিয়ে পরপর তিনটি শতক হাঁকান বাবর আজম। এছাড়া একবার করে টানা তিন ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরি আছে পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার, দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শাল গিবস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কুইন্টন ডি কক, নিউ জিল্যান্ডের রস টেইলর, ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো, ভারতের বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা