ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত। বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য ‘তৃতীয় পক্ষ’ বা সামরিক কূটকৌশল সংক্রান্ত কোনো অনুমান নির্ভর বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে দেশটি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তৃতীয় পক্ষ বা সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে অনুমান নির্ভর বিষয়ে পড়তে চাই না। অবশ্যই এগুলো অনুমান নির্ভর।’
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্নটি দ্য হিন্দুর কল্লোল ভট্টাচার্য করেছিলেন। তিনি শুক্রবার ঢাকায় বিরোধী দলের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভারতের অবস্থান এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারতীয় গণমাধ্যমের অনুমান নির্ভর বিষয়ে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যদি তাদের মতভেদ নিরসন না করে তাহলে সম্ভাব্য ‘সেনাবাহিনীসহ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ’ সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলেন।
সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্কে প্রশ্ন করার সময় বাগচীকে তার নোটবুক থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে প্রশ্নকর্তার দিকে ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে তাকাতে বাধ্য করেছিল।
তিনি পরে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় বেশিরভাগই অনুমানমূলক কথাবার্তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি সপ্তাহের শুরুতে যা বলেছিলেন তার সঙ্গে তার যোগ করার খুব কমই ছিল, তবে তারা আশা করে যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বাগচি আরও বলেছেন যে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চলমান বিষয় নিয়ে মন্তব্য করবেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের কথা উল্লেখ করেন।‘আমরা সত্যিই এটি সম্পর্কে মন্তব্য করিনি।’সপ্তাহের শুরুতে বাগচী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারে তবে ভারত করবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে তা ভারতকে প্রভাবিত করে।’
ঢাকায় তাদের একটি হাই কমিশন আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভারত ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ভারতের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করি শান্তি থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না এবং নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে আসছে এবং বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকারও বলছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম