কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- কোনো পক্ষের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ থেকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন নম্বর-৯ এ এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আইন, বিধি ও আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনো অর্পিত প্রান্তের কোনো ধরনের প্রভাব বা অনুমান নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।’
নির্বাচনের মতো একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা যাতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের সামনে নিজেদের অপমানিত করে এমন কোনো কাজ না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে ইসি।
ইসি বলেছে, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় জনগণের যৌথসভা করে সবাইকে ভোটে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে তার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে কমিশন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিবিড় টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং যেকোনো ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ড রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে বলেছে।
ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জনগণকে জানাতে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছে কমিশন।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসারদের নিজ নিজ জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এই নিরপেক্ষতা জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম