অনলাইন ডেস্ক :
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন আইনের চারটি নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলস। এক বিবৃতিতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২০০৯ সালে টি-টেন টুর্নামেন্টে কর্নাটক টাস্কার্সের স্কোয়াডে ছিলেন স্যামুয়েলস। কোন ম্যাচ না খেলেই তিনি অভিযুক্ত হলেন। স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। স্যামুয়েলসের বিপক্ষে ধারা ভঙ্গের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমটি হলো- ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করতে পারে এমন কারও কাছ থেকে পাওয়া উপহার, অর্থ, সুবিধাপ্রাপ্তির কথা দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ না করা। দ্বিতীয়টি- ৭৫০ ডলার বা তার বেশি মূল্যের আতিথেয়তার বিষয়টি লুকানো। তৃতীয়- দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে সহায়তা না করা। চতুর্থটি- তদন্তের জন্য তথ্য গোপন করে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে বাধা বা বিলম্বিত করা। আচরণ বিধি ভঙের ২.৪.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুয়াড়িদের কাছে থেকে ৭৫০ মার্কিন ডলার বা তার চেয়ে বেশি অর্থ নিয়েছেন স্যামুয়েলস। এই অভিযোগের বিপক্ষে আবেদনের জন্য স্যামুয়েলসকে ১৪ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্যামুয়েলস। ২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন স্যামুয়েলস। ঐ দুই বিশ্বকাপেরই ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১টি টেস্টে ৩৯১৭ রান, ২০৭টি ওয়ানডেতে ৫৬০৬ রান এবং ৬৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১৬১১ রান করেছেন স্যামুয়েলস। তিন ফরম্যাটে বল হাতে ১৫২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গত বছর পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন স্যামুয়েলস।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম