অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের তেহরানে পাতাল রেলে নীতি পুলিশের ‘লাঞ্ছনার’ পর কোমায় চলে যায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিবিসি বলেছে, কোমায় চলে যাওয়া ওই কিশোরীর ‘ব্রেন ডেড’ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাবা-মা বা মানবাধিকারকর্মীদের কাছে থেকে কিশোরীর অবস্থা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়নি। মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, ১ আক্টোবর হিজাব না পরার জন্য নীতি পুলিশ ওই কিশোরীকে মারধর করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে তেহরানের ফজর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে কড়া নিরাপত্তায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কুর্দিকেন্দ্রিক মানবাধিকার গোষ্ঠী হেনগাও বলেছে, আর্মিতা গেরাভান্দ নামের ওই কিশোরী তেহরানের মেট্রোতে নীতি পুলিশের নারী সদস্যদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়। বাধ্যতামূলক হিজাব না পরায় ওই বিবাদের সূত্রপাত হয়।
তবে ইরানের কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, মেয়েটি নিম্ন রক্তচাপের কারণে ‘অজ্ঞান’ হয়ে গিয়েছিল। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ইরানি কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আর্মিতা তার চুল খোলা অবস্থায় তেহরানের শোহাদা স্টেশনে অন্য দুই মেয়ের সঙ্গে একটি ট্রেনে উঠছে। পরে তারা ট্রেন থেকে আবার নেমে আসে। তখন অচেতন অর্মিতার হাত ও পা ধরে প্ল্যাটফর্মে শুইয়ে দেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। গত রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরআইএনএন প্রতিবেদনে বলেছে, ‘চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অর্মিতা এখন ব্রেন ডেড।’ এর ঠিক আট দিন আগেই হেনগাও বলেছিল, অর্মিতা কোমাতে আছে এবং তার অবস্থার উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
নারীদের জন্য কঠোর পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাহসা আমিনির মৃত্যুর মাত্র এক বছরেরও বেশি সময় পর ইরানি কর্তৃপক্ষ সামাজিক উত্তেজনার যেকোনো উত্থানের জন্য উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। আমিনির মৃত্যু দেশজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। সেই বিক্ষোভ দমনে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু