April 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, June 6th, 2022, 7:55 pm

নেইমারের পেনাল্টিতে ব্রাজিলের কষ্টের জয়

অনলাইন ডেস্ক :

আক্রমণের পর আক্রমণ। সুযোগের পর সুযোগ। লক্ষ্যে শট হলো বারংবার। কিন্তু কাক্সিক্ষত গোল আর আসছিল না। হতাশায় বারবার মুখ লুকানো ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে। জাপানের রক্ষণদুর্গ ভেদ করে ঠিকই জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সেলেসাওরা। আর তাদের এই জয়ের রূপকার নেইমার। সোমবার (৬ জুন) আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ডের পেনাল্টিতে এশিয়ার দেশটিতে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। লক্ষ্য এখন একটাই- বিশ্বকাপ। কাতারের ফুটবল মহাযজ্ঞের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। ইউরোপের বড় দলগুলো নেশনস লিগ খেললেও আদতে তা বিশ্বকাপেরই প্রস্তুতি। তবে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর কোনও টুর্নামেন্ট নেই, প্রীতি ম্যাচই তাদের ভরসা। নামটা ‘প্রীতি’ হলেও এখানে ছাড় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কারণ দলের শক্তি-দুর্বলতা দেখে নিতে কিংবা কম্বিনেশন ঠিক করতে এই ম্যাচগুলো বড় শক্তির জায়গা। লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে এবং সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে কাতারের টিকিট নিশ্চিত করা ব্রাজিল তাদের ‘বিশ্বকাপ প্রস্তুতি’ শুরু করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া দিয়ে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা তিতের দল ম্যাচটিতে প্রমাণ করেছে কেন তাদের ফেভারিট ধরা হচ্ছে কাতারের আসরে। ৫-১ গোলের বিধ্বংসী জয়- আত্মবিশ্বাসের পারদ চড়াতে আর কী লাগে! কিন্তু দলে যে ‘দুর্বলতা’ও আছে, সেটিও দেখা হয়ে গেলো পরের ম্যাচে। জাপানের বিপক্ষে কোনও রকমে জিতে মাঠ ছেড়েছে সেলেসাওরা। যদিও ১-০ গোলের জয়ের স্কোরলাইন ব্রাজিলের হয়ে কথা বলছে না। কারণ মুহুর্মুহু আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করে গেছে তারা। তবে জাপানের প্রতিরোধ কিংবা আক্রমণে ওঠার প্রবণতাও কম ছিল না। মাঝেমধ্যেই তার ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। যদিও গোটা ম্যাচে গোলমুখে তাদের একটিও শট নেই। ব্রাজিলের লক্ষ্যে শট ছিল ৫টি। অন্যদিকে ব্রাজিলের মোট ২১ শটের বিপরীতে জাপানের শট ৭টি। বল পজেশনে দুই দলের ব্যবধান খুব বেশি নয়। ব্রাজিলের ৫৩ শতাংশের বিপরীতে জাপান বল রেখেছে ৪৭ শতাংশ। বিশ্বকাপে আছে জাপান। দক্ষিণ কোরিয়াও এশিয়া অঞ্চল থেকে কাতারের টিকিট নিশ্চিত করেছে। যদিও কোরিয়াকে কোনও সুযোগই দেয়নি ব্রাজিল। তবে জাপানের সামনে পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে। জাপানের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে শুরুতে গোলের সুযোগ নষ্ট করে সেলেসাওরা। ম্যাচ ঘড়ির দ্বিতীয় মিনিটে নেইমারের ব্যাক হিল থেকে লুকাস পাকিতার নিচু শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ১৯ মিনিটে আরেকবার হতাশায় পুড়তে হয়। রাফিনিয়া ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলেও জাপানিজ গোলকিপার সুইচি গোন্ডা পা দিয়ে রুখে দেন। মিনিট চারেক পর জাপানের সুযোগ নষ্ট। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ওয়াতারু এন্দোর হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। খানিক পর আবারও ব্রাজিলের আক্রমণ। এবার ফ্রি কিক থেকে আসা বল কাসেমিরোর হেড হয়ে পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। একটু পর নেইমারের বাঁকানো শট স্বাগতিক গোলকিপার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি ব্রাজিলের। পিএসজি ফরোয়ার্ডকে এভাবে আরও কয়েক বার হতাশায় পুড়তে হয়েছে। প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও যখন ব্রাজিলের গোল আসছিল না। তখনই ভুল করে বসে জাপান! রিচার্লিসনকে নিজেদের সীমানায় ফাউল করেন এন্দো। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি। ৭৭ মিনিটে আসা সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি নেইমার। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়িয়ে ব্রাজিলকে এনে দেন দারুণ এক জয়।