April 23, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 11th, 2021, 8:10 pm

নেতৃত্ব ছাড়তে নারাজ মর্গ্যান

অনলাইন ডেস্ক :

দল লক্ষ্য পূরণের আগেই ছিটকে গেল। ব্যাট হাতে নিজের ফর্মও ভালো নয়। সব মিলিয়ে বইতে শুরু করেছেন প্রতিকূল হাওয়া। তবে তাতে নড়ে যাচ্ছেন না ওয়েন মর্গ্যান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ট্রফির লড়াইয়ে টিকতে না পারলেও নিজের দলকে নিয়ে তিনি দারুণ গর্বিত। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, নেতৃত্ব ছাড়ার ভাবনা নেই তার। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলা অনেক দলের জন্যই সাফল্য। তবে ইংল্যান্ডের জন্য নয়! নিজেদের মানদ- এই ইংল্যান্ড এতটা উঁচু তারে বেঁধে নিয়েছে যে, সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়া মানেও বড় ব্যর্থতা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে বুধবার বেশির ভাগ সময় জয়ের মতো অবস্থানে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হেরে যায় ইংলিশরা। মর্গ্যানের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল নিজের ব্যাটিং ফর্মের কারণে। বিশ্বকাপে তার রান ৭*, ৪০, ১৭, ৭*। এটিকে খুব খারাপ মনে না হলেও পুরো বছরের চিত্র তার বেশ বাজে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ইংল্যান্ড, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মিডলসেক্স ও লন্ডন স্পিরিটের (দা হান্ড্রেড) হয়ে সব মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচ খেলে এবছর তার গড় ১৭.৭১, স্ট্রাইক রেট ১১৮.৬১। টি-টোয়েন্টিতে এমন দুর্দশা তার আগে হয়নি। সব মিলিয়ে দল সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি উঠল, অধিনায়কত্ব কি চালিয়ে যাবেন মর্গ্যান? ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান স্পষ্টই বুঝিয়ে দিলেন নিজের ভাবনা। “আশা তো করি। দলে এখনও যথেষ্ট অবদান রাখছি। ওই ড্রেসিং রুমে থাকতে, এই দলের হয়ে খেলতে আমি এখনও দারুণ উপভোগ করছি। ছেলেরা সবটুকু ঢেলে দেয়। মাঠের ভেতরে-বাইরে বদলের অগ্রভাগে তারা এবং গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে আমাদের। এই দলের নেতা হিসেবে আমি অবিশ্বাস্যরকমের গর্বিত।” এই পরাজয়ের প্রবল হতাশা অবশ্য লুকাননি মর্গ্যান। ১৬৬ রানের পুঁজি নিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে দারুণ চাপে রাখতে পেরেছিল তারা। রান তাড়ায় ১০ ওভারে কিউইদের রান ছিল ¯্রফে ৫৮। এমনকি শেষ ৪ ওভারেও প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। সেই রান নিউ জিল্যান্ড ৩ ওভারেই তাড়া করে ফেলে। মর্গ্যান এখানে কৃতিত্ব দিলেন জিমি নিশামকে, ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ে যিনি বদলে দেন ম্যাচের গতিপথ। “আমরা বিধ্বস্ত (এই হারে)। কঠিন লড়াইয়ের এক ম্যাচে পরাজিত দলে থাকাটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা আজকে দারুণ লড়েছি এমন এক উইকেটে, যা আমাদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মানানসই নয়। তার পরও আমরা ভালো স্কোর গড়ি, বল হাতেও ছিলাম দুর্দান্ত।” “জিমি নিশাম উইকেটে আসার আগ পর্যন্ত সম্ভবত আমরাই এগিয়ে ছিলাম। ম্যাচ জুড়ে দুই দলের অন্য সবাই বল সীমানা ছাড়া করতে ভুগেছে, পিচই ছিল ওরকম। সেখানে সে অসাধারণ খেলেছে। তাকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। নিজেদের ভুল আজ খুব একটা দেখি না আমি। লড়াইয়ের কমতি রাখিনি। কৃতিত্ব কেন (উইলিয়ামসন) ও তার দলের।”