জেলা প্রতিনিধি :
রাজশাহীতে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) ব্যবস্থাপনা বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। রাজশাহী জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন, উপসহকারী পরিচালক সদীপ কুমার চৌধুরী, সহকারী পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। দুদক জানায়, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলন, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ লুটপাট করে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে নেসকোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। দুদক সূত্রে জানা যায়, নেসকোর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আজিজ ও নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ গোলাম আহম্মেদের কাছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের লাইট লাগানো হিসেবের নথির পাশাপাশি অন্যান্য কাজের টেন্ডার সংক্রান্ত রেকর্ড-পত্রও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, হাজিরার রেকর্ড, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন বিলের হিসাব, নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ড-পত্র, বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত রেকর্ড-পত্রের ফটোকপিসহ আরও নানা বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে দুদক। কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য জেলা দুদক কার্যালয়ে সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুদক সূত্র আরও জানায়, নেসকোর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আজিজ, নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ গোলাম আহম্মেদ, সৈয়দ আবু তাহের (ডিসিএস), সুব্রত কুমার দাস (নির্বাহী পরিচালক), মো. শরিফুল আওলাদ (নির্বাহী পরিচালক), মো. আবু মোতালেব (ম্যানেজার), মো. দেলোয়ার হোসেন (ডিজিএম), মো. নজরুল ইসলাম (উচ্চমান হিসাব সহকারী) ও মো. শহীদুল ইসলামসহ (উচ্চমান হিসাব সহকারী) এবং তাদের স্ত্রীদের সবশেষ আয়কর নথির ফটোকপি আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুদক জানায়, এসব তথ্য পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তিতে কমিশনে জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক