দ্বিতীয় দিনের মত শুক্রবার ভোলা-বরিশাল রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এবার ভোলা-চরফ্যাসনসহ অভ্যান্তরীণ সকল রুটে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাসমালিক সমিতি। শুক্রবার সকাল থেকে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় ভোলা বাসমালিক সমিতি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লঞ্চ ও বাসে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট ও ভোলার বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে অসংখ্য যাত্রী তাদের গন্তব্যে যেতে না পেরে অপেক্ষা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে বরিশালগামী কোন লঞ্চ নেই। এমনকি স্পিডবোটও ছাড়ছে না। তবে অসুস্থ ও বিশেষ প্রয়োজনে কিছু যাত্রী স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বরিশাল গিয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, ভোলার মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে স্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে।
ভোলা থেকে চরফ্যাশনের বাস ভাড়া ১২০ থেকে ২০০টাকা হলেও মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ড থেকে ফিরে গেছেন।
যাত্রী মো. সাহাদ জানান, তিনি জরুরী কাজে পরিবার নিয়ে ভোলা থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। তবে এখানে এসে দেখেন বাস বন্ধ।
এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে করে চরফ্যাশন যাচ্ছেন।
যাত্রী আমেনা বেগম জানান, তিনি পাতারহাট থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য ভোলা বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। কিন্তু বাস না পেয়ে এখানে আটকা পড়েছেন। মাইক্রো ও সিএনজি ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়া চায় কিন্তু এতো টাকা তার কাছে নেই। তাই নিরুপায় হয়ে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছেন।
ভোলা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম জানান, মহাসড়কে থ্রি হুইলার (তিন চাকার যানবাহন) চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ভোলায় সেটি মানা হচ্ছে না। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এ থ্রি হুইলার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসলেও সেগুলো এখনো বন্ধ হয়নি। তাই সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি