জেলা প্রতিনিধি, রংপুর:
এলেঙ্গা-হাট্টিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করণ প্রকল্পের এলএ কেস নং ১৯/২০-২০২১ এর রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার প্রবেশ দ্বার মর্ডানের অর্জন মোড়স্থ এলাকার জমি অধিগ্রহণের ন্যায্য মূল্যে পাওয়ার দাবিতে এলাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকালে নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সূত্রে জানা যায়, “সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২” এর আওতায় এলেঙ্গা-হাট্টিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ শীর্শক প্রকল্পের কাজের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নং আইন) মোতাবেক মালিকানাধীন জেলা রংপুরের উপজেলা সদরের সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন তাজহাট মৌজাস্থ এল এ কেস নং- ১৯/২০২০-২০২১ অন্তর্ভুক্ত জেলার প্রবেশদ্বার মডার্ণ মোড়, বাপুরের জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম গুরু হয়।
ভূমি অধিগ্রহণ বিধিমালার ২০১৭ এর ধারা ৯ অনুযায়ী ৪ ধারা নোটিশ জারীর দিন হতে বিগত ০১ বছরের সমশ্রেণির জমির গড় মূল্যেই জমির মূল্য নির্ধারিত হবে বলে নিদের্শনা আছে। সেই মোতাবেক জেলা প্রশাসন সাব রেজিস্ট্রি অফিস হতে বাণিজ্যিক শ্রেণির ০৫ টি দলিল সংগ্রহ করেন। যার গড় মূল্য দাড়ায় ২৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ১ শত ৮৮ টাকা।
কিন্তু জেলা প্রশাসন বাণিজ্যিক শ্রেণির প্রাপ্য মূল্য বিধি বহির্ভূত ভাবে শতক মূল্য ২৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ১ শত ৮৮ টাকার স্থলে অজ্ঞাত কারণে বিধি বহির্ভূত ভাবে শতক প্রতি ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। যার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করে এলাকাবাসী ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবী করে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ ভূমি মন্ত্রনালয়ের একাধিকবার দরখাস্ত করে পুনঃ বিবেচনার আবেদন জানায়।
এলাকাবাসীর ন্যায্য দাবীর সঠিকতা থাকলেও কোন অজ্ঞাত করণে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে জমির মূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নিকটাত্মীয়দের মধ্যে আমরাই জমি কেনা বেচা করে জমির মূল্য বৃদ্ধি করেছি মর্মে জেলা প্রশাসন কর্তৃক সংগৃহীত ০৫ টি দলিল এর মধ্যে ০৪ টি দলিল কে বাদ দিয়ে সর্বনিম্ন দলিলটিকে আমলে নিয়ে শতক প্রতি ১১লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করেন। যা আইন বহির্ভূত।
ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন যাতে করে ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যায়। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন মানববন্ধনে বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসীর পক্ষে আবু সাইদ, বদিউল আলম, মোস্তফা, হিরা, শাহ আলম, আকতার, রফিকুল প্রমূখ। এ ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি