অনলাইন ডেস্ক :
শাকিব খান এই মুহূর্তে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। ম্যান হাটনের রাস্তায় একটি ছবি দিয়ে দিয়ে দেশীয় ভক্তদের মাঝে বিস্ময় তৈরি করেন। কেননা সচরাচর এমন চনমনে, অতি আধুনিকতার মোড়কে তাঁদের প্রিয় নায়ক- সব যেন একদম নতুন। চেহারায় যেন এক নতুন বরফ গলে যাওয়া উইন্টারের শেষে যেন উঁকি দিচ্ছে বসন্ত। এরপরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাঙালিদের একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যান শাকিব। সেখানে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশি অভিনেতা আফজাল হোসেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় আফজালের পাশেই ছিলেন শাকিব। শাকিব খানে আফজাল নিজেই মুগ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন দেশের এই গুণী অভিনেতা। শাকিব খানের বিমানে ভ্রমণের একটি ছবি পোস্ট করে আফজাল হোসেন বলেন, ‘ছবির মানুষটাকে কি চেনা যায়? দেখি, কতজন চিনতে পারেন। আমার কাছে সে ছিল চেনা অচেনা- চেনার সুযোগ পেয়ে কৌতূহল বেড়েছে, বেশ অবাকও হয়েছি। বিস্তারিত লিখবো.. সামনে।’ শাকিব খানে যেখানে আফজাল হোসেনের মতো গুণী অভিনেতা মুগ্ধতা হতে পারেন, সেখানে নেট জনতার মুগ্ধতা খুব কঠিন কিছু নয়। ম্যানহাটনের পর গত রাতে শাকিব খান তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেটায় মুগ্ধতায় ছড়াচ্ছেন নেটিজেনরা। যারা শাকিব খানকে প্রিয়’র তালিকায় রাখেন না, তারাও ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। শাকিব খান এই মুহূর্তে রয়েছেন নিউ ইয়র্কের কুইন্সে। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই তার যাওয়া। ওই অনুষ্ঠানে শাকিব বলেন, ‘এই আটলান্টা পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হলো। অনেকবার চেষ্টা করেছি, লন্ডনে ভারতীয় কলকাতার অনেক ছবির শুটিং করেছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে হয়নি। এবার আমার ইচ্ছে বাংলা ছবিকে গ্লোবালি ছড়িয়ে দিতে পারবো। আমরা পুরো ইউনিটসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সিনেমার শুটিং করবো।’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে শাকিব খান বলেন, ‘দেশের এবং বিদেশের টেকনিশিয়ান, শিল্পীদের নিয়ে এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) বড় একটি সিনেমা করার প্ল্যান করেছি। কভিড না থাকলে শুটিং হয়ে এতদিনে রিলিজও হতে যেত। সবসময় চেয়েছি আমার সিনেমা, বাংলাদেশি সিনেমা বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তে পর্যন্ত পৌঁছে যাক। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’ এদিকে বিশ্ব শিশু দিবসে শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্র থেকেই একটি বার্তা প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে। লিখেছেন, শিক্ষা, পুষ্টি, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ একটি নিরাপদ শৈশব পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু সারাদেশে এখনও অনেক শিশু এসকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভবিষ্যতের বড় সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য আজকের শিশুদের আরও বেশি স্বাস্থ্যকর, দক্ষ এবং সক্ষম হতে হবে। এ কারণে আমাদের সরকারকে এখনই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি আর নিরাপত্তার মতো সরকারি খাতে শিশুদের জন্য বিনিয়োগ আরও বেশি বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ