April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 2nd, 2023, 7:38 pm

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে

শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে এক অঙ্কে নেমে এসেছে তাপমাত্রা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে তেঁতুলিয়ায়। গত তিনদিন ধরে এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তাপমাত্রা নিচে নেমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, কুয়াশা কম হওয়ায় উত্তরের হিমেল হাওয়া জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত হিমেল বাতাসে কনকনে ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ।

ভোর থেকে সূর্য উঠা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক ও চাকুরিজীবীরা যাতায়াত করতে পারছে না। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ঘনকুয়াশা বেশি দেখা যাচ্ছে। হাত পা মুখ শরীরে মোটা কাপড় পড়ে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছেন অনেকে। শহর বন্দর গ্রাম সর্বত্র খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে মানুষ। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

ফিরোজ আলম নামে এক কর্মচারী জানান, সময়মতো অফিসে না আসলেও হয় না। ফলে সকাল সকাল বাসা থেকে বের হতে হয়। ঘনকুয়াশার কারণে সকালে বাসা থেকে অফিসে আসতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

আসাদুল হক নামে এক ট্রাক চালক বলেন, ঘনকুয়াশায় গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট। ঘনকুয়াশায় দশ হাত দূরের কিছুই দেখা যায় না। সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ফলে সময়ও বেশি লাগছে।

সাথী আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, সকালে পানি নাড়তে পারিনা। পানিটা মনে হয় বরফ হয়ে থাকে। ঠাণ্ডা পানি লাগলে গা শিউরে উঠে।

জেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ব্রম্মতল মোমিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা জহির আলী জানান, আমরা সীমান্তের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি। শহরেও যাওয়া হয় না। আমাদের এদিকে কেউ কম্বলও দিতে আসে না। আমরা বরাবরেই বঞ্চিত থাকি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, বর্তমান যে আবহাওয়া এই আবহাওয়ায় সকল ফসলেরই উপকার হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে। তারপর সূর্যের আলো থাকায় কোনো ফসলেরই ক্ষতি হচ্ছে না। সূর্যের আলো পাওয়ায় ফসলের উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কম্বল ও সোয়েটার রয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে যে সব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে সেগুলোও আমরা সমন্বয় করছি।

—ইউএনবি