আগামী ২৫ জুন খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বহু প্রতিক্ষিত ও গৌরবের এই সেতু ঘিরে মাদারীপুর অঞ্চলের মানুষের মধ্য সঞ্চার হয়েছে নতুন প্রাণের।পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এখানে শিল্প ও পরিবহন খাতে ইতোমধ্যে ব্যাপক বিনিয়োগ শুরু হয়েছে।
মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর, শিবচরসহ জেলার চারটি উপজেলায় ইতোমধ্যে ৬০ জন শিল্প উদ্যোক্তা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বিসিক এর মাধ্যমে আবেদন করেছে। মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স এর সিনিয়র সহ সভাপতি বাবুল চন্দ্র দাস বলেন,পদ্মা সেতুর কারণে এখানে শিল্প উদ্যোক্তার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা দুই বছর আগে ছিল শূন্যের কোটায়।
এদিকে মাদারীপুর বাস মালিক সমিতি মাদারীপুর – ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহনের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। সমিতির বর্তমান ২২ টি বাস থাকলেও পদ্মা সেতু চালুর পর এই রুটে আরও ২৫টি নতুন বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাসের বডি ও কাঠামো প্রস্তুত করার জন্য মাদারীপুরের বিভিন্ন গ্যারেজে মিস্তিরিরা দিন- রাত ব্যস্ত সময় পার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালিক সমিতির একজন সদস্য বলেন,উন্নত যাত্রী সেবায় মাদারীপুর – ঢাকা রুটে এসিসহ নতুন নতুন পরিবহনকে স্বাগত জানাই।
এদিকে মাদারীপুর -ঢাকা রুটে সার্বিক,চন্দ্রা ও সোনালী পরিবহনের প্রায় শতাধিক বাস চলাচল করে।এর মধ্য সার্বিক পরিবহনের ৫৭ টি গাড়ি রয়েছে।
সার্বিক পরিবহনের ম্যানেজার গোপাল বাবু জানান, সার্বিক পরিবহন এই রুটে আরও ১৪টি নতুন বাস চালু করতে যাচ্ছে। এর মধ্য চারটি এসি, চারটি চেয়ার কোচ ও ছয় পরিবহন বাস রয়েছে ।
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্হিত মাদারীপুর জেলার অনেক লোক মেস ভাড়া থেকে ঢাকা ও মাদারীপুর চাকরি করে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা- মাদারীপুর যাতায়াতে সাড়ে চার ঘন্টার পরিবর্তে মাত্র আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। এতে এই রুটে যাত্রী সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। এদিকে এই সড়কের বিভিন্ন স্টান্ডে নতুন নতুন বাস কাউন্টার গড়ে উঠেছে।
বাস সুপারভাইজার সেলিম মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে জেলার একমাত্র পরিবহন সেক্টরেই এক হাজার লোকের কর্মসংস্হান সৃষ্টি হবে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি