প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মার বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে দৈর্ঘ্য বাড়াতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নকশা নতুন করে করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্যতা প্রতিবেদনে সেতু প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে নদীর গভীরতার পার্থক্য পাওয়ায় তিনি সেতুটি নতুন করে করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ফাঁক রাখতে দেইনি। যদিও এটি সময় নিয়েছে, আমি নকশা পরিবর্তন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে যমুনা ও পদ্মাসহ নদীর প্রবাহ ও তলদেশের মাটির পরিবর্তন হয়। যেহেতু বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের মতো নয়, তাই এই পার্থক্য মাথায় রেখে সঠিকভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি পদ্মা সেতুকে ছোট করতে দেইনি। আমরা নদীর সঙ্গে বাফার জোন রেখে সেতু নির্মাণ করেছি। যার কারেণে সেতুটি দেশের দীর্ঘতম সেতু হয়ে উঠেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু সেতুর (যমুনা সেতু) বর্তমান দৈর্ঘ্যের নকশা করেছেন তাদের ভুল ছিল। যেহেতু এর নকশা ও পরিকল্পনা আগে করা হয়েছিল, তাই সেখানে আমাদের আর কিছু করার ছিল না। আমি এতে শুধুমাত্র রেললাইন অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি।’
এসময় কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম