September 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 22nd, 2023, 7:53 pm

পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ১১১৭ কোটি টাকা

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর ব্যয় আরও ১ হাজার ১১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সেতু বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১৩ হাজার ৬৫৮ কোটি ৯৯ লাখ কোটি টাকা হবে যা চীনা ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে পরিশোধ করা হবে।’

সূত্র জানায়, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। তবে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বর্ধিত ব্যয় ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুমোদন করেছে। এবং প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করেন এবং পরের দিন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

সরকার সম্প্রতি ঠিকাদারদের পরিশোধের ওপর মূল্য সংযোজন কর ১০ দশমকি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্ট এবং শরীয়তপুরের জাঞ্জিরা পয়েন্টের মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সড়ক-রেল সেতু নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যা রাজধানী, ঢাকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

মূল পরিকল্পনা অনুসারে, ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

প্রথম সংশোধনীর পর প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা হয় এবং সময়সীমা ধরা হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবং দ্বিতীয় সংশোধনীর পরে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা হয় এবং সময়সীমা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ভূমি অধিগ্রহণের বিশেষ অনুমোদনে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

সমস্ত প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়েই প্রকল্পের সময়সীমা প্রথমে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, তারপরে আবার ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং সবশেষে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

২০০১ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

—-ইউএনবি