আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের একদিন পর রবিবার সকাল ৬টায় বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
আমাদের মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, প্রথমবার সেতু পার হওয়ার জন্য রাত থেকেই সেতুর মাওয়া পয়েন্টে মানুষের ভিড় দেখা যায়। এসময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাগামী মোটরসাইকেল, বাস ও ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনকে সেতু পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী আমিনুল ইসলাম (৩৫) মাওয়া পয়েন্টে টোল দিয়ে প্রথমে সেতু পার হন।
তিনি জানান, আরও ১০০ জন মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তিনি সেতু পার হওয়ার জন্য এখানে আসেন।
তবে ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে মাওয়া পয়েন্টে টোল আদায় বিলম্বিত হয়েছে।
রবিবার টোল আদায়ের জন্য ছয়টির মধ্যে পাঁচটি বুথ খোলা হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, আজ প্রথম দিন হওয়ায় টোল আদায় প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতির।
পরবর্তীতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সরকার গত ১৭ মে পদ্মা বহুমুখী সেতু পারাপারের জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের টোল হার চূড়ান্ত করে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোটরসাইকেলের জন্য ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা, পিক-আপের জন্য ১২০০ টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ১৩০০ টাকা, ছোট বাসের জন্য (৩১টি আসন বিশিষ্ট) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসের জন্য ২০০০ টাকা (৩২টি আসন বিশিষ্ট), বড় সাইজের বাসের জন্য ২৪০০ টাকা, ছোট ট্রাক (৫ টন) এর জন্য এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাকের জন্য (৫ টন থেকে ৮ টনের বেশি), মাঝারি আকারের ট্রাক (৮ টন থেকে ১১ টনের বেশি) ২১০০ টাকা, বড় ট্রাকের জন্য ৫৫০০ টাকা (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ট্রেলার ট্রাকের জন্য ছয় হাজার টাকা (৪ এক্সেল) এবং ট্রেলারের জন্য (৪ এক্সেলের বেশি) ছয় হাজারের বেশি টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি সোনালি অধ্যায়ের সূচনা ঘটে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক