November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 15th, 2023, 8:14 pm

পরকীয়া না থাকায় স্টার জলসার সিরিয়াল বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক :

পরকীয়া না থাকায় মেগা সিরিয়াল বন্ধ হয়ে গেল? এমনটাই অভিযোগ নেটিজেনদের। তারা বলছেন, কলকাতার চ্যানেলে ভালো কোনো সিরিয়াল চলতে পারে না। থাকতে হয় পরকীয়া ও সংসার চুকলি কাটার মতো গল্প। গত মে মাস থেকেই কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার সিরিয়ালে নানা ঝামেলা চলছিল। প্রথমে হঠাৎই ধারাবাহিকের কাজ ছেড়ে চলে যান রূপা গাঙ্গুলি। এদিকে মেয়েবেলা মেগাটিকে এতদিন রূপার ফিরে আসা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। অনলাইনে বীথির চরিত্রটা ট্রোল হলেও, মেগার অন্যতম আকর্ষণও ছিল এটাই। রূপা মেগা ছেড়ে দিলে নিয়ে আসা হয় অনুশ্রী দাসকে। তবে রূপা ছেড়ে যাওয়ার শূন্যতা থেকেই যায়। এরপরই চ্যানেলের মেয়েবেলা-র স্লট অর্থাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার স্লট দিয়ে দেওয়া হয় নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা-কে। তারপরই চ্যানেলের সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মসের ঝামেলা শুরু হয়।

বিগ বাজেটের মেয়েবেলা-কে প্রাইম স্লট ছাড়া চালাতে রাজি হয় না সুরিন্দর ফিল্মস। তাই তো প্রাথমিক ভাবে বিকেল ৫টার স্লট দেওয়া হলেও কয়েকদিন পরেই বন্ধের ঘণ্টা বেজে গেল। সিরিয়ালের শেষ সম্প্রচার ছিল গত বুধবার। সেট থেকে ছবি শেয়ার করে মন খারাপ করা পোস্ট শেয়ার করলেন পরিচালক সুমন দাস। সুমন ফেসবুকে লিখলেন, ‘অনেকদিন পরে একটা মনের মতো শো পরিচালনা করতে পেরে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। যাই হোক, ভালো জিনিস কম হলেই ভালো। সেটা মনে থেকে যায়। আর মানুষও বিরক্ত হয় না। থ্যাঙ্ক ইউ সুরিন্দর ফিল্মস, থ্যাঙ্ক ইউ মেয়েবেলার সমস্ত আর্টিস্টদের। থ্যাঙ্ক ইউ স্টার জলসাকে।’ মেয়েবেলা পরিচালকের এই পোস্টে মন খারাপ ধরা পড়ল দর্শকদেরও। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘আমি এখনও ভাবতে পারছি না। এই দায় দর্শকদেরই নিতে হবে। পরকীয়া না দেখালে যদি কোনো শো-র টিআরপি না ওঠে, তাহলে দর্শকদের পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে।

বেকার বাংলা সিরিয়ালকে ট্রোল করে লাভ কী! এই জন্যই তো মেয়েবেলা-র মতো একটা ভালো গল্পকে বন্ধ হয়ে যেতে হল।’ আরেকজন লিখলেন, ‘গুড্ডির মতো একটা ধারাবাহিক এখনও চলছে, সেখানে মেয়েবেলা বন্ধ হচ্ছে। সত্যি কিছু বলার নেই আর।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘মেয়েবেলা বন্ধের দায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরেও বর্তায়। উনি হাঠাৎ করে একদিন সিরিয়াল না করা ঠিক করলেন। একবার ভাবলেন না কতগুলো মানুষের কাজ যাবে। সত্যিই কিছু বলার নেই। আর দেখব না স্টার জলসার কোনো সিরিয়াল।’ চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘নোংরামো ছাড়া প্রথম কোনো সিরিয়াল দেখছিলাম। ভাবিনি এরকম পরিণতি হবে। গল্পটাও ঠিক করে শেষ করার সুযোগ পেল না। মৌ-ডোডোর রসায়নও দেখতে পেলাম না।’