অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হারের পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের আড়াল করে রাখার কথা। সেখানে আরও সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছেন সতীর্থদের। নির্দিষ্ট করে বোলার আর ফিল্ডারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তার মতে, বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিতে পারছে না। মনোযোগ আর তৎপরতার অভাব ফিল্ডারদের মাঝেও! শুরুতে টস জিতে পাকিস্তান ৭ উইকেটে পায় ২৮২ রানের সংগ্রহ। এত বড় সংগ্রহ বেশ অনায়াসেই পার করেছে আফগান ব্যাটাররা। উড়ন্ত শুরু এনে দিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের জুটিতে ১৩০ রান যোগ হয়েছে। তার পর রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহীদী ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছেন।
বিশ্বকাপে এমনটা পাকিস্তানের প্রথম হলো যেখানে তারা ২৭৫ প্লাস রান করেও সেটা ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরাজয় স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট দিচ্ছে বাবরকে, ‘হ্যাঁ, এই পরাজয় আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমরা ২৮০-৯০ স্কোর পেতে চেয়েছিলাম। সেটা করার পর বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে আমরা আপ টু দ্য মার্ক ছিলাম না। যেভাবে চেয়েছি স্পিনাররা সেভাবে বল করতে পারেনি।’ বাবরের মতে পিচে স্পিনারদের সহায়তা থাকার পরেও প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি তারা, ‘আমরা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করছিলাম। কিন্তু উইকেট প্রয়োজন ছিল। পিচ স্পিনারদের যথেষ্ট সহায়তা করছিল। এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসেও। কিন্তু আমাদের স্পিনাররা যে লেংথ দরকার সেখানে বল করতে পারেনি।
প্রতি ওভারে আমরা বাউন্ডারি হজম করেছি। ফলে ব্যাটারদের ওপর কোনো চাপ ছিল না।’ বাবরের মতে হারের কারণ কোনো বিভাগেই ঠিকমতো কিছু না হওয়া, ‘সব বিভাগে একই সময়ে আমরা ক্লিক করতে পারিনি। দেখা গেছে বল ভালো করলে ব্যাটিং ভালো হয় না। আমার যখন ব্যাটিং ভালো করছি তখন ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না।’ ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও দলের চেষ্টাকে দুর্বল মনে করেন তিনি, ‘ফিল্ডিং মানেই হচ্ছে শরীরী মনোভাব। কিন্তু দলের মাঝে সেসবের ছাপ দেখতে পাইনি। এসবক্ষেত্রে বাড়তি চেষ্টা থাকা লাগে, ফিট থাকা লাগে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা