April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, March 8th, 2022, 7:27 pm

পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে, হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক :

চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে পরী মণির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। আদালতে পরী মণির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। এর আগে ১ মার্চ চিত্রনায়িকা পরী মণির মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ওই একই মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিলের জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। গত ৫ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরী মণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আদালত পরী মণিসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন। গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরী মণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে তাঁকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত পরী মণির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরী মণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরী মণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরী মণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরী মণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরী মণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরী মণি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন। নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরী মণিসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন এবং মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এ বদলির নির্দেশ দেন। এর আগে গত বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।