অনলাইন ডেস্ক :
দেশের পর্যটনকেন্দ্র খুলছে ১৯ আগস্ট। সেই খবরে সরগরম হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এখানকার হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিচ ব্যবসায়ী, ক্যামেরাম্যানসহ প্রায় ১৬ পেশার মানুষের মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে চাঞ্চল্য। সাম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেলগুলো ধোয়া-মোছার কাছ চলছে, খাবার হোটেল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় যে অচলাবস্থা হয়েছিল, সেগুলো মানসম্মত পরিবেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পর্যটনকেন্দ্র খোলার খবরে সৈকতে ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত থাকা ক্যামেরাম্যানরাও ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে সৈকতে নেমে পড়েছেন। পায়রা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বেশ লোকসানে রয়েছি। স্টাফ বেতন, দোকান ভাড়া সবকিছুই দিতে হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র খোলার খবরে অনেক খুশি। পর্যটকদের চাহিদামতো সেবা দিতে সবকিছু রেডি করছি। সৈকতে থাকা ক্যামেরাম্যান শাহিন বলেন, লকডাউনে দীর্ঘদিন বেকার ছিলাম। যতটুকু সঞ্চয় ছিল তা অনেক আগেই শেষ। শুনছি ১৯ আগস্ট থেকে ট্যুরিস্ট আসবে। তার আগেই ক্যামেরা নিয়ে চলে এসেছি সৈকতে। সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি অপেক্ষা শুধু পর্যটকের। হোটেল গোল্ডেন ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম জহির জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটকদের সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি এরইমধ্যে সেরে ফেলেছি। দীর্ঘদিন পর স্টাফরা মনের খুশিতে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো। বিচ ঘোড়া চালক সাব্বির জানান, এতদিন ঘোড়ার খাবার কিনছি বাকিতে। শুনছি লোকজন আসবে তাই ঘোড়াটাকে রেডি করছি। খলিফা ট্যুরিজমের পরিচালক নুর হোসেন আকাশ বলেন, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেবার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি। মূলত পর্যটকদের সাইড-ট্যুরগুলো করাই ফাইবার বোট দিয়ে। এরইমধ্যে বোটগুলোতে রং, যান্ত্রিক কাজগুলো শেষ করেছি। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হাসান রানা বলেন, কুয়াকাটায় প্রায় শতাধিক ট্যুর অপারেটর রয়েছে। সবার কাছেই এরইমধ্যে বুকিং আসতে শুরু করেছে। অগ্রিম বুকিং নিচ্ছি এবং পর্যটকদের সব ধরনের সেবা দিতে ট্যুর অপারেটর ও গাইড প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসেসিয়েশন সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন পর্যটন বন্ধ থাকায় মানুষ ঘরবন্দি ছিল। খুলে দেওয়ায় অনেকেই ছুটে আসবেন সৈকতে। তবে আমরা আপাতত হোটেল বুকিং নিচ্ছি না। অনেকে অগ্রিম বুকিং দিচ্ছে আগামী ১৯ তারিখের পরের জন্য সেগুলো নিচ্ছি। সরকার পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি। চেষ্টা করবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দিতে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটন খোলার ঘোষণা পেয়েছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারে। পর্যটকদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম সবসময় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র