অনলাইন ডেস্ক :
আসামের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। রাজ্যটির উত্তরের তিন জেলা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের বহু এলাকা এখন পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। ভারতের আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির খবর যখন দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে জায়গা পাচ্ছে ঠিক তখনই বন্যা পরিস্থিতির অবনতির খবর মিলছে ভারতের আরেক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের। রাজ্যটির উত্তরের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলছে রাজ্য প্রশাসনকেও। ভারতের প্রতিবেশী দেশ ভুটানে গত কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির বহু এলাকায়। বিপদ-সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা, তোর্সা সহ একাধিক নদী। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু জনবহুল এলাকা, ফসলি জমি। ভেঙে গেছে বহু কাচা, আধা কাঁচা বাড়ি, অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু-এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র বক্সার জঙ্গল। আলিপুরদুয়ারে এই এলাকাটি এখন প্রায় কোমর সমান পানির তলায়। ফলে বন্যা পানিতে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাদের উদ্ধারের প্রশাসন কাজ করছে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিও হচ্ছে। প্রশাসন সেখানে রেড এলার্ট জারি করেছে।এদিকে টানা কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে ভারতের আসাম। রাজ্যটির ৩৫ জেলার মধ্যে ৩২টি এখন পানির নিচে। টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত জনজীবন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। একই অবস্থা ত্রিপুরা ও মেঘালয়েও। গত রোববার স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়ইনি উল্টো আরও অবনতি হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রাজ্যের বেশিরভাগ জেলা এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্যা পরিস্থিতি অপরবর্তীত রয়েছে মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অরুণাচলেও। একদিনেই ত্রিপুরাতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন। রোববার ভারি বৃষ্টি হয়েছে রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, গুজরাটসহ অন্যান্য রাজ্যেও। যা চলমান পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২