অনলাইন ডেস্ক :
জার্মানি এবং ব্রিটেন ইউক্রেনে পশ্চিমা ভারী ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেছে, কর্মকর্তারা গত সোমবার একথা বলেছেন। এই সাঁজোয়া বহরের ফায়ার পাওয়ার রাশিয়ান সৈন্যদের আক্রমণের বিরুদ্ধে কিয়েভ পাল্টা আক্রমণে ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জামের দীর্ঘ দিনের চাহিদার তালিকায় থাকা ট্যাঙ্কগুলো এই বছরের শুরুতে কিয়েভকে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং এখন এগুলো ইউক্রেন বাহিনীর বসন্তকালীন আক্রমণের জন্য সময় মতো হাতে পৌঁছেছে। ইউক্রেন প্রচলিত ফায়ার পাওয়ার অর্জন করার সাথে সাথে ক্রেমলিন প্রতিবেশী বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের জন্য ভøাদিমির পুতিন ঘোষিত একটি পরিকল্পনা অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাশিয়ার এই উদ্যোগ ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বার্লিন কিয়েভকে ‘খুব আধুনিক’ লেপার্ড ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেছে। পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৮টি ট্যাঙ্ক সরবরাহ করা হয়েছে। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের ট্যাঙ্কগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং সময়মতো ইউক্রেনীয় বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছে।’ কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ভারী সাঁজোয়া যানের সাথে ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক যুক্ত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ এর আগে বলেছেন, তিনি দেশটির বাহিনীতে একটি ‘নতুন সংযোজন’ পরিদর্শন করেছেন। এ গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্কের পাশাপাশি জার্মানির মার্ডার পদাতিক যুদ্ধ যান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুগার সাঁজোয়া ট্রাক ও স্ট্রাইকার সাঁজোয়া কর্মী বাহক। রেজনিকভ ফেসবুকে বলেছেন, ‘এক বছর আগে, কেউ ভাবতে পারেনি যে, আমাদের অংশীদারদের সমর্থন এত শক্তিশালী হবে।’ মস্কোতে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পুতিনের কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণার পশ্চিমা সমালোচনা ‘রুশ পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না।’ দুই দিন আগে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন না করে’ মস্কো কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির সফরের প্রক্কালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সোমবার বলেছেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। জেলেনস্কি সফররত রাফায়েল গ্রোসিকে বলেছেন, ‘জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক প্লান্ট এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে রুশ সৈন্য এবং কর্মীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার না করে পারমাণবিক সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধারের যে কোনো উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।’ প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। গ্রোসি এই সপ্তাহের শেষের দিকে পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘আমি আজ জাপোরিঝিয়া শহরে জেলেনস্কির সাথে দেখা করেছি এবং জাপোরিঝিয়া এনপিপি (পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) এবং এর কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি ইউক্রেনের পারমাণবিক স্থাপনার প্রতি আইএইএ’র পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু