অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ দিন ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানো একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ফলে রোববার (১৪ মে) আবারও শান্ত হয়ে উঠছে গাজা। তবে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে বহু লোক। ইসলামিক জিহাদগোষ্ঠীর ওপর ইসরায়েলি হামলার মাধ্যমে মঙ্গলবার লড়াইটি শুরু হয়েছিল। মিসরের মধ্যস্থতায় কয়েক দিন ধরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার পর শনিবার দিনের শেষের দিকে সেই লড়াই বন্ধ হয়। এ যুদ্ধে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৩ জন।
এ ছাড়া ইসলামিক জিহাদের অন্তত ছয়জন শীর্ষ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের ভূখ-েও দুজন মারা গেছেন, যাদের একজন ফিলিস্তিনি শ্রমিক এবং একজন বয়স্ক ইসরায়েলি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় ৫০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ৯৫০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসকরা বলেছেন, গাজায় ১৯০ জন এবং ইসরায়েলে ৩০ জন আহত হয়েছে।যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিরা তা উদযাপন করতে রাস্তায় জড়ো হয়েছিল। জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার কারণে গভীরভাবে দুঃখিত। ইসরায়েলকে রোববার গাজার সঙ্গে তাদের দুটি ক্রসিং পুনরায় খুলতে দেখা গেছে।
এগুলো বন্ধ থাকার ফলে ফিলিস্তিনিরা কাজ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেক বঞ্চিত হচ্ছিল। এই পদক্ষেপ অবরুদ্ধ ছিটমহলে ওষুধ, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহের পথ প্রশস্ত করেছে। গাজার কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী ইসরায়েলিদের ওপর আরোপিত চলাচলের নিষেধাজ্ঞাও রোববার তুলে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল ও ইসলামিক জিহাদ যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও উভয়ই সতর্ক করেছে, অন্য পক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করলে তারা আবার গুলি চালাতে দ্বিধা করবে না। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তদের সঙ্গে শান্তভাবে আচরণ করা হবে।
যদি ইসরায়েলকে আক্রমণ করা হয় বা হুমকি দেওয়া হয়, তবে তারা আত্মরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে থাকবে। ইসলামিক জিহাদের একজন মুখপাত্র তারিক সালমি বলেছেন, যদি ইসরাইল ‘কোনো বোকামির কাজ বা কোনো হত্যাকা- ঘটায়, তাহলে প্রতিরোধ যেখানে ছাড়া হয়েছিল সেখানেই আবার শুরু হবে’। এদিকে গাজায় শান্তি ফিরে এলেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এএফপির একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, রোববার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী কেন্দ্রীয় নাবলুসে অভিযান চালায় এবং ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে সেনাদের ওপর গুলি চালানোর সন্দেহে তারা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র : এএফপি
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু