অনলাইন ডেস্ক :
অসুস্থ হয়ে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান কিংবদন্তী জহির আব্বাস। শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ মাসের শুরুতে দুবাইয়ে অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হন আব্বাস। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে, লন্ডনের ফ্লাইট ধরেন তিনি। কিন্তু লন্ডন যাবার পথে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্বাস। ১৬ জুন লন্ডনে পৌঁছানোর পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আব্বাসকে। কিডনির ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল আব্বাসকে। একই সাথে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন তিনি। লন্ডনে পৌঁছনোর পর তার কিডনিতে ব্যথা শুরু হয়। এরপর চিকিৎসকরা তার ডায়ালাইসিস শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, আইসিইউতে ভর্তি করানো হয় আব্বাসকে। তার সাথে কাউকে দেখা করতে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। আব্বাসের অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ক্রিকেট মহলে। পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশের সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটার তার দ্রুত সুস্থতার জন্য টুইটারে আরোগ্য কামনা করেছেন। ১৯৬৯ সালে করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় আব্বাসের। এরপর ১৬ বছরে দেশের হয়ে ৭৮টি টেস্টে ৫০৬২ রান ও ৬২ ওয়ানডেতে ২৫৭২ রান করেন আব্বাস। টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি ও ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি আছে তার। তবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে আব্বাসের পরিসংখ্যান চোখ ধাধাঁনো। ৪৫৯ ম্যাচে ১০৮টি সেঞ্চুরি আছে আব্বাসের। এশিয়ার একমাত্র ব্যাটার হিসেবেই প্রথম শ্রেনিতে ১শটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তাই এশিয়ার ব্র্যাডম্যান বলা হয় আব্বাসকে। হাফ-সেঞ্চুরি আছে ১৫৮টি। ৪৫৯ ম্যাচে আব্বাসের রান ৩৪৮৪৩। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানকে ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন আব্বাস। সেখানে ৩টি জয়, ১টি হার ও ১০টি ড্র ছিলো। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর আইসিসির সভাপতি ও ম্যাচ রেফারি হিসাবেও কাজ করেছেন ৭৪ বছর বয়সী আব্বাস। ২০২০ সালে ‘আইসিসির হল অফ ফেমে’ যুক্ত হন আব্বাস। এই তালিকায় আরও আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার জক ক্যালিস এবং অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার লিসা স্তালেকার।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা