November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 1st, 2023, 7:54 pm

পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য এখন সেমিফাইনাল

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে হঠাৎ করে পাকিস্তান শিবিরের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছে। মঙ্গলবারের ম্যাচে ফখর জামান ওপেনিংয়ে খেলতে নেমে দারুন এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন তাদের পরিকল্পনায় এখন শুধুই সেমিফাইনাল, আর কিছু নেই। পাকিস্তানী পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ২০৪ রানে গুটিয়ে যায়। মামুলি রান তাড়া করে ৩২.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এতে তাদের নেট রান রেটও অনেক বেড়েছে।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফখর বলেন, ‘বিশ্বকাপে প্রতিটি জয়ই আত্মবিশ্বাস যোগায়। আমরা সবাই এই জয়ের জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আমরা ছন্দ ফিরে পেয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আমরা নিজেদের প্রমান করেছি, কার্যত আত্মবিশ্বাসটা সেখান থেকেই এসেছে। এখন দলের ভারসাম্য দুর্দান্ত। এই দলের ড্রেসিং রুমের সাথে আমি গত আট বছর ধরে আছি। প্রতিদিনই যেন এর উন্নতি হচ্ছে।’ পাঁচ ম্যাচ পর দলে ফিরেই ফখর ৭৪ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ওপেনিংয়ে আব্দুল্লাহ শফিককে (৬৮) সাথে নিয়ে ১২৮ রানের জুটি গড়ে তুলেন। এর ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের গতি তরান্বিত হয়। ফখর বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তাতে ২৯-৩০ ওভারে ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। যদিও এখানে অনেক কিন্তু, যদিও পরিসংখ্যান রয়েছে।

কিন্তু সবকিছুর পরও আমাদের মূল লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা, নিজেদের কাজটুকু সেড়ে রাখতে চাই।’ এই জয়ে আফগানিস্তানকে টপকে পাকিস্তান পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এই দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি তাদের নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের ক্ষনও গুনতে হবে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পর হাঁটুর ইনজুরির কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ দলের বাইরে ছিলেন ফখর। কালকের ইনিংস শেষে তার ক্ষুধা আরো বেড়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন ফখর, ‘ইনজুরির মাত্রা ততটা গুরুতর ছিলনা। সাবধানতার কারণে আমি বিশ্রামে ছিলাম। দলের প্রয়োজনে আমি খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আজ সুযোগ পেয়েছি, দলের জয়ে সেরা ইনিংস খেলেছি। নেটে আমি যেভাবে খেলেছি তাতে আমার স্পষ্ট ধারনা ছিল বল ব্যাটে আসবেই। ভারতীয় উইকেটে তিন থেকে চার ওভার টিকে থাকতে পারলে রান করা সহজ হয়ে যায়। বাউন্ডারি খুব একটা বড় নয়।

আগামী ম্যাচগুলোতেও আমি একইরকম পারফর্ম করতে চাই। আমাদের বোলাররা সঠিক জায়গা বোলিং করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং তাতে সফলও হচ্ছে।’ ভারতের বিপক্ষে পরাজয় এখনো পাকিস্তান দলকে দু:খ দেয় বলে ফখর স্বীকার করেছেন, ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ কিছু। আমি যদি বলি সেখানে কোন ভিন্নতা নেই, তবে সেটা ভুল বলা হবে। তবে সবাই এখানে পেশাদার খেলোয়াড় এবং একেকজন অনেক ক্রিকেট খেলেছে। এমনকি ভারতের বিপক্ষেও তারা অনেক ম্যাচ খেলেছে। সে কারণে এখানে আসলে কিছুই বলার নেই।’