অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের বাজাউরের সরকারি হাসপাতালের মুখপাত্র লিয়াকত আলী বলেছেন, পাকিস্তানের আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে হওয়া এই আত্মঘাতী বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৩ জন মারা গেছেন। আহত ১২৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৪ থেকে বেড়ে ৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আলী বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সাম্প্রতিক এই আত্মঘাতী বোমা হামলার সঙ্গে আফগান নাগরিকরা জড়িত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আত্মঘাতী বোমা হামলায় আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের জাড়িত থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী।’
এর আগে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খার শহরে ৪০০ জনেরও বেশি সদস্য এবং সমর্থক একটি তাঁবুর নিচে জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটানো হয় জমিয়ত উলামা-ই-ইসলাম-এফ দলকে লক্ষ্য করে। সমাবেশে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার পেছনে জড়িতদের সন্ধান পেতে কাজ শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। প্রথম দিকে সন্দেহের তীর ছিল তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) দিকে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে বেশ কয়েক বার সহিংস হামলা চালিয়েছে তারা।
তবে দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ধারণা করেছিল, এই হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাখা আইএস-খোরাসানের (আইএস-কে) সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সেই ধারণাই এখন সত্য প্রমাণিত হলো। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংবাদ সংস্থা আমাক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএল)-এর একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী…ভিড়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক জ্যাকেটের বিস্ফোরণ ঘটায়।’ পাকিস্তানের প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত খান নিশ্চিত করেছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। বোমা হামলাকারীকে শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান নাজির খান বলেছেন, অন্তত তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সূত্র : আলজাজিরা
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু