অনলাইন ডেস্ক :
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের উইকেট নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। সফরকারী দলের তারকা স্টিভ স্মিথের চোখে যেটা ‘মরা উইকেট’। সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইন্তিখাব আলমও পিন্ডির পিচ নিয়ে করেছেন সমালোচনা। কেনই বা হবে না। ২৪ বছরে প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দেখার যে রোমাঞ্চ ছিল, সেটা উধাও হয়ে গেছে শুধু ব্যাটসম্যানদের দাপটে। কতটা দাপট, সেটা প্রমাণ করে দুই দলের প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়েছে পঞ্চম দিনে গিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যাশিতভাবে ড্র হয়েছে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট। পরের ম্যাচ ১২ মার্চ করাচিতে। দ্বিতীয় টেস্ট খেলার আগে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের ম্যাচে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছেন ইমাম উল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। দুই ওপেনারই দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। এই জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকরা রাঙিয়েছে ড্র ম্যাচ। ৭ উইকেটে ৪৪৯ রানে শেষ দিন সকালে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্ক ১২ ও প্যাট কামিন্স ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর ৩.১ ওভার টিকে ছিল তাদের ইনিংস। অধিনায়ক কামিন্সকে (৮) ফিরিয়ে ৩৫ বছর বয়সী স্পিনার নওমান আলী টেস্টে তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান। স্টার্ককে (১৩) ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি। আর শেষ ব্যাটসম্যান নাথান লিয়ন (০) নওমানের ষষ্ঠ শিকার। পাকিস্তানের এই বাঁহাতি স্পিনার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন ১০৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে। ৪৫৯ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ৪৭৬ রান করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে নামে ১৭ রানে এগিয়ে থেকে। প্রথম সেশনের মাঝামাঝি ব্যাটিং করতে নেমে পুরো দিন পার করে দেন ইমাম ও শফিক। ৯৯ রানে চা বিরতিতে যাওয়া শফিক তৃতীয় সেশনের শুরুতে ১৮৩ বলে সেঞ্চুরি করেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে তিন অঙ্কের জাদুকরী ফিগারের দেখা পেলেন পাকিস্তানি ওপেনার। প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রান করা ইমাম শেষ ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন ১৭৯ বলে। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। দুজনের জুটি ভাঙতে পারেননি কোনো বোলার। ২৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে শফিক ১৩৬ ও ইমাম ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা