কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন পান চাষে ঝুঁকছেন যশোরের অভয়নগরের চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়। এছাড়া চাষের জন্য বাঘুটিয়া ইউনিয়নও অন্যতম। উপজেলার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের পানের বরজ আছে। নওয়াপাড়া ও চেঙ্গুটিয়ায় হাটে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত পান বেচাকেনার হয়। অনেকে আবার পানকে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এই উপজেলায় চলতি বছরে ৪০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। পান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩০ মেট্রিক টন।
বাঘুটিয়া এলাকার পান চাষি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য চাষিরা জানান, পানের বরজে এক প্রকার ফাপপচা রোগ দেখা দেয়। এ থেকে বাঁচাতে পারলে একটি বরজ ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত থাকে। সাধারণ আষাঢ়-শ্রাবন মাসে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। তবে এ রোগ দমনে ফোরি, এডমা ও কাফডার নামে তিনটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও শীতের সময় এক প্রকার বিষাক্ত কুয়াশা পান গাছে লাগলে পান পাতা ঝরে যায়। এতে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পান চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুই বিঘার ওপর একটা পানের বরজ আছে, তার বয়স প্রায় ১০ বছর হবে। বর্তমানে প্রতি বিড়া পান আকার ভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করতে পারছি। বাজারে চাহিদা থাকায় পুরাতন পানের যে দাম পেয়ে ছিলাম, নতুন পানেরও তেমনি দাম পাচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদামী জানান, জাইকার আয়োজনে উপজেলাতে পান চাষিদের কয়েকটি প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। যে কারণে এই এলাকায় পান চাষ ভালো হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এখানে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও সরবরাহ করা হচ্ছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি