April 23, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 7th, 2021, 8:03 pm

পাপনের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরি করা

অনলাইন ডেস্ক :

গত মাসেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজক হতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামকেও উল্লেখ করা হয়েছে। তাই নতুন মেয়াদে বিসিবি প্রেসিডেন্ট হয়ে এবার সেই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শেষ করাই নাজমুল হাসান পাপনের মূল লক্ষ্য। চতুর্থ মেয়াদে বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। আর সেখানেই তার লক্ষ্যের কথা জানান। আইসিসি ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যযন্ত ৮ বছরের চক্রে পুরুষদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চূড়ান্ত করেছে। এ সময়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে দুটি- ২০২৭ ও ২০৩১ সালে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে চারটি-২০২৪, ২০২৬, ২০২৮ ও ২০৩০ সালে। এ ছাড়া মোট ৮ দল নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও আয়োজন করা হবে ২০২৫, ২০২৯ সালে। এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হতে বাড়তি স্টেডিয়াম প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের সেটি নেই। তার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম বানাতে চায় বিসিবি। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘আমি একটু আগেই পরিচালকদের সঙ্গে ছোট আলোচনা সভা করেছি। সেখানে তাদের জানিয়েছি, এবার আমাদের যে কাজ করতে হবে তার মধ্যে অবশ্যই শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরি শেষ করতে হবে। এটা সবার আগে করতেই হবে। কারণ আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আইসিসিতে যে প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে এটার কথা উল্লেখ রয়েছে।’ গত মাসেই আইসিসি টুর্নামেন্টের নতুন ক্যালেন্ডারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজক হতে বিড করে বাংলাদেশ। পাশাপাশি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনেরও আবেদন করেছে তারা। তাই শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন খুবই জরুরি বিসিবির জন্য। এর আগে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। বর্তমানে অবশ্য আইসিসির চাহিদা বেড়েছে। বিশ্বকাপ আয়োজক হতে হলে কমপক্ষে ছয়টি ভেন্যু থাকতে হবে। দেশে সে পরিমাণ স্টেডিয়াম না থাকায় যৌথভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এছাড়া ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও যৌথ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেবার ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশেও বেশ কিছু ম্যাচ হয়েছিল।