জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের সমর্থকদের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলাগুলিতে আহত স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলী নিহতের ঘটনায় ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার সকালে এই নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক কোন ঘটনায় বৈধ প্রার্থী নিহত হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন স্থগিতের বিধান রয়েছে।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার ফয়সাল বিন কবির জানান, ইসির নিয়ম অনুযায়ী ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা দিয়ে গণ বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তাঁর লোকজন প্রচারণায় বের হন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হন। এ সময় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম (ঘোড়া প্রতীক প্রার্থীর চাচাতো ভাই) জড়ো হলে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ইয়াছিন আলমসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলম নাটোরের বনপাড়ায় পৌঁছানোর পর মারা যান।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কোনো পক্ষ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ ঘটনা তদন্তে করছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি