November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, January 26th, 2022, 9:05 pm

পাবনায় আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনেও দুঃশ্চিন্তায় পেঁয়াজ চাষীরা

আবুল কালাম আজাদ, পাবনা :

ফলন ভালো হলি কি হবি বাজারে দাম কম তাই লুকাসান গুনতি হচ্ছে। আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ উৎপাদনে বাম্পার ফলনেও মন ভালো নেই পাবনার পেঁয়াজ চাষীদের। তাদের অভিযোগ, বাজার ভারসাম্যহীনতায় মিলছে না ন্যায্যমূল্য। লোকসান ঠেকাতে আমদানী বন্ধ এবং কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজার মূল্য নির্ধারণের দাবী পেঁয়াজ চাষীদের। তবে, কৃষি বিভাগ বলছে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসাথে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা ঢাকা শীতের ভোরে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পাবনার পেঁয়াজ চাষীরা। আগাম জাতের এই পেঁয়াজ আবাদে কিছুটা স্বচ্ছলতার মুখ দেখছেন তারা। সেইসাথে বাজারে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছেন উত্তরের পেঁয়াজ চাষীরা। নতুন পেঁয়াজ বেচাকেনায় চাষী-পাইকারদের হাঁকডাকে এখন এমনই সরগরম পাবনার হাটগুলো। চলতি মৌসুমে পাবনায় ৯ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষীরা। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ গড় ফলনে ছাড়িয়েছে কৃষিবিভাগের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও। প্রথমদিকে চাষীরা প্রতি মণ পেঁয়াজে ১৩০০ টাকা পেলেও, হাট-বাজারে সরবরাহ বাড়ায় হঠাৎই কমে গেছে দাম। যেকারণে, ভালো ফলনেও চাষীরা পড়েছেন লোকসানের দুঃশ্চিন্তায়।
পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আশরাফুজ্জামান টিংকু, গাজিমুদ্দিন, মগরেব প্রামানিকসহ অনেকেইে বলেন, বিঘা প্রতি ৫০/৬০ মণ ফলন হলেও পেঁয়াজ আবাদে শ্রমিক, সার, বীজ, কীটশাকের মুল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কিত তারা। বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ ৮০০ থেকে ৯০০টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তাতে তাদের লোকসান ঠেকানোই কঠিন। লোকসান ঠেকাতে আপাতত বিদেশী পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ ও উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সরকারি বাজার মূল্য নির্ধারণের দাবী তাদের।

সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, কৃষকেরা যেভাবে লোকসান বলছেন তিনি তা মনে করেন না। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসাথে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষীরা। তবে পেঁয়াজ চাষীরা লাভবান হবেন।
শুধু উৎপাদন নয়, বিদেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানী বন্ধ করে দেশের চাষীদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশ্যা এলাকাবাসির।