April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, June 27th, 2022, 9:15 pm

পাবনায় শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার জাকারিয়া পিন্টুকে জেলহাজতে প্রেরণ

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা :

পাবনা ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
২৭ জুন (সোমবার) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে পাবনা জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত ২৫ জুন (শনিবার)কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২। ২৬ জুন (রবিবার) গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে রাতেই পাবনা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্ত জনিত কারনে তাকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। পিন্টু পাবনা ঈশ^রদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত, আব্দুস ছামাদের ছেলে। আটককৃত শীর্ষসন্ত্রাসী পিন্টু ঈশ^রদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মত্যুদন্ডের রায় ঘোষনার করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষনার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টু এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোট ২৪ টি মামলা রয়েছে এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী পিন্টু।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেন যোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামী বিএনপি নেতা মোঃ জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার আন্যান্য আসামীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ^রদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষন করেন। এ ঘটনায় ঈশ^রদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। তিন বছর পর ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ২৮ জন স্বশরীরে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। আসামিরা ঈশ্বরদী উপজেলার পৌর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।