November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 31st, 2022, 7:57 pm

পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

আবু সাঈদ খান

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা :

পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২)সহ তিনজনকে জামিন নামঞাজুর দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

পাবনা জেলা ও দায়রা জজের কৌসুলি এডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের মৃত হাচেন খাঁ ওরফে হাঁচই রাজাকারের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২), বিজয়রামপুর গ্রামের মহির বিশ্বাসের ছেলে নাদের বিশ্বাস( ৫৩), নলদহ গ্রামের জেলেমুদ্দিনের ছেলের সমো (৩১)।

এই এসময় ২ জনকে জামিন দেওয়া হয়। তারা হলেন ভাঁড়ারা ইউপির দিঘলকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলম( ৩৩), চকভাড়ারা গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে শামসুল হোসেন (৪০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম হত্যা মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ ৩৪ জন আসামী তাদের মধ্যে ৫ আসামী জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে। এ সময় বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুইনজনের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এই মামলার বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চতুর্থধাপের গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার কারনে ভাঁড়ারা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় বাকি ৯ টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি ভোটকে সামনে রেখে গত ১১ ডিসেম্বর সকালে কোলাদি গ্রামের চারাবটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক ভোটের প্রচারণায় বের হন।

এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে । এতে সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ইয়াসিন আলম মারা যান।