তিন পার্বত্য জেলায় আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৪তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পাহাড়ে বসবাসরত ১১ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা বর্ণিল সাজে সজ্জিতে র্যালিতে অংশগ্রহণ করে।
পরে স্থানীয় রাজার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ৬৯ পদাতিক বিগ্রেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক।
এদিকে, শান্তিচুক্তির ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান জাতিগত হানাহানির অবসান ঘটিয়েছে। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন চুক্তিটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং সম্ভাবনার জায়গা।
তিনি বলেন, শান্তি চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী উপজাতিদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তি চুক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি